Staff Reporter, The Wanabeel:চলতি সপ্তাহেই ৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে অস্কার (Oscar) পেয়েছে ভারতের ডকুমেন্টরি 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারার্স' (The Elephant Whisperers)। এই ডকুমেন্টারিতে একটি হাতির শাবকের গল্প তুলে ধরেছেন পরিচালক জুটি কার্তিকী গঞ্জালভেস এবং গুনীত মোঙ্গা। যা নিয়ে হইহই শুরু হয়েছে গোটা দেশে। এদিকে এই ডকুমেন্টারির সঙ্গেই জড়িয়ে গিয়েছে এক বঙ্গতনয়ার (Bengali editors) নামও। তিনি এই কলকাতারই মেয়ে। নাম সঞ্চারী দাস মল্লিক।
এ খবর জানাজানি হতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। সত্যজিৎ রায়ের পরে আবার বাংলায় অস্কারের স্বাদ ফিরিয়ে এনেছেন এই বঙ্গকন্যা, এমনটাই বলছেন সবাই। যা শুনে স্বাভাবিকভাবেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন সঞ্চারী দাস মল্লিকের মা-বাবা শুভা দাস মল্লিক এবং সদন দাস মল্লিক। এমনকী বুধবার সামাজিক মাধ্যমে মেয়েকে নিয়ে একটি আবেগঘন পোস্টও লিখেছেন শুভাদেবী।
সঞ্চারীর মা শুভা দাস মল্লিক সামাজিক মাধ্যমে যে পোস্টটি করেছেন, তাতে তিনি নিজের বাবা মনোজেন্দু মজুমদারের নামও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, "আমার বাবাই বংশ পরম্পরায় আমাদের মধ্যে সিনেমার প্রতি ভালবাসা জাগিয়েছেন।" প্রসঙ্গত, সত্যজিৎ রায় নিজের তরুণ বয়সে যে চারজন বন্ধুকে নিয়ে 'ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি' প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, মনোজেন্দু মজুমদার ছিলেন তাঁদেরই একজন।
গলফগ্রিনের মেয়ে সঞ্চারীর পড়াশোনা শুরু লরেটো কনভেন্টে। এরপর ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল হয়ে মুম্বই সেন্ট জেভিয়ার্সে পড়াশোনা করেন তিনি। সেখান থেকে চলে যান পুণের এফটিআইআই-এ ফিল্ম নিয়ে পড়তে। বিগত কয়েক বছর ধরেই মুম্বইয়ে বিজ্ঞাপন ও তথ্যচিত্র সম্পাদনার কাজের সঙ্গে যুক্ত সঞ্চারী। জানা গেছে, ২০২১ সাল থেকে এই ডকুমেন্টারির সম্পাদনার কাজ শুরু করেছেন সঞ্চারী। যদিও তিনি একা নন। মোট পাঁচজন মিলে এই সম্পাদনার কাজ সামলেছেন। এটাই তাঁর প্রথম তথ্যচিত্র। এর আগে বেশ কিছু বিজ্ঞাপন ও ফিচার ফিল্মও এডিট করেছেন তিনি।
Social Plugin